প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, পেশিশক্তির ব্যবহার প্রতিরোধে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে।'
-ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে আরপিওসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলের সংলাপের কারণে এই সংশোধনী আটকা ছিল। এর আগে ইসি সংলাপ চলাকালে আরপিওর সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রিসাইডিং অফিসাররা যাতে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন, সেই বিষয়ে তাদের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।
'এ ছাড়া ঋণ ও বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়ার পথ কিছুটা সহজ করার চিন্তা করা হচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ঋণ-বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দিয়ে আরপিও সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অনিয়ম প্রতিরোধে ভোট বন্ধের ক্ষমতা পাচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসাররা
সংসদ নির্বাচনে টিআইএন-এর সদনের কপি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে; ভোট গণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা এজেন্টকে দেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে; এ ছাড়া নির্বাচনী কাজে অবৈধভাবে বাধাদানকারী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনতে নতুন উপ-ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলে, সংশোধিত গঠনতন্ত্র ইসিতে জমা দেওয়ার জন্য ১ মাস সময় পাবে।'